প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি আবেদন পদ্ধতি, ফরম, যোগ্যতা ও শর্ত

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান কর্মসূচির আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থছরে মোট ৭৮১০৪ জন শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি যা শুরু হয়ছিলো ২০০৭-০৮ অর্থবছরে, এখন অব্দি চলমান এবং এই আর্টিকেলে জানাবো প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে। 

শুধু তাই নয়, জানাবো প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তির লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, প্রাপ্তির যোগ্যতা, শর্ত, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সম্পর্কে। অনেক তথ্যবহুল ও কার্যকরি আর্টিকেল এটি, তাই আপনি যদি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী হোন কিংবা কারো জন্য আবেদন করে থাকেন তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।  

প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচি

প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সভ্যতার অগ্রযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের কাছে এই জনগোষ্ঠীর প্রতি দায়িত্ববোধের পরিবর্তন দৃশ্যমান। বিশ্বজুড়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়ন ও কল্যাণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারও এই জনগোষ্ঠীর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে তাদের অধিকার ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

সাংবিধানিক অধিকার ও প্রতিশ্রুতি

বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫, ১৭, ২০ ও ২৯ অনুচ্ছেদে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমান সুযোগ ও অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ১৫ (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বেকারত্ব, পঙ্গুত্ব, বার্ধক্য বা অন্যান্য বৈষম্যজনিত পরিস্থিতিতে সরকারি সহায়তার অধিকার রয়েছে। 

এছাড়া, ২০১৩ সালের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-এ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে দুঃস্থ, অসহায়, এবং সুবিধাবঞ্চিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বিশেষ করে নারী ও শিশুর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচির সূচনা ও অগ্রগতি

প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরদের শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০০৭-০৮ অর্থবছর থেকে ‘প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচি’ চালু করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ১২,২০৯ শিক্ষার্থী এ কর্মসূচির আওতায় আসে। তাদের জন্য প্রাথমিক স্তরে মাসিক ৩০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৪৫০ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৬০০ টাকা এবং উচ্চতর স্তরে ১,০০০ টাকা উপবৃত্তি নির্ধারণ করা হয়েছিল।

বর্তমানে উপবৃত্তির পরিমাণ ও উপকারভোগীর সংখ্যা উভয়ই বেড়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা পর্যায়ক্রমে প্রাথমিক স্তরে ৯০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৯৫০ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ১,০৫০ টাকা এবং উচ্চতর স্তরে ১,৩০০ টাকা করে পাচ্ছে।

সামাজিক নিরাপত্তায় বিশেষ উদ্যোগ

বাংলাদেশ সরকার প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে এবং তাদের জীবনমান উন্নত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এই কর্মসূচি তারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অব্যাহত রাখতে এবং তাদের সক্ষমতার বিকাশে সহায়তা করছে।

এই উদ্যোগ শুধু একটি কর্মসূচি নয়; এটি একটি মানবিক দায়িত্ব পালনের দৃষ্টান্ত। সরকার ও সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলার অঙ্গীকার আজ বাস্তবে রূপ পাচ্ছে।

প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য 

১) সামাজিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং তাদের কল্যাণে কাজ করা এই কর্মসূচির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। এর ফলে তারা নিজেদের আত্মবিশ্বাসী ও সমাজের অংশ হিসেবে ভাবতে পারে।

২) ক্ষমতায়ন এবং মূলধারায় সম্পৃক্তকরণ

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়ন ও ধীরে ধীরে সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে তাদের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। কর্মসূচিটি তাদের শিক্ষার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও প্রস্তুত করে।

৩) শিক্ষায় অংশগ্রহণ এবং ঝরেপড়া রোধ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভর্তি এবং নিয়মিত উপস্থিতি বাড়ানো এই কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য। পাশাপাশি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করে ঝরেপড়া রোধ এবং তাদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করা হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সুশিক্ষা অর্জন করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠে।

৪) জাতীয় উন্নয়নে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তোলা, যাতে তারা জাতীয় উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেও সমাজে তাদের অবদান রাখার পথ সুগম করা হয়।

৫) সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার বিকাশ

শিক্ষার পাশাপাশি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিকতা, নৈতিকতা এবং সামাজিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা। এটি তাদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার পাশাপাশি সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল করে তোলে।

৬) উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহ সৃষ্টি

দরিদ্র প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ানো এবং তাদের উচ্চশিক্ষা অর্জনে উৎসাহিত করা। এই উদ্দেশ্যটি তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার ও আত্মনির্ভরশীলতার ভিত্তি স্থাপন করে।

৭) স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় সম্পৃক্তকরণ

সরকারের গৃহীত স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সঙ্গে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের কল্যাণকে অন্তর্ভুক্ত করা। এর মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে ভূমিকা রাখার পথ সুগম হয়।

প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি প্রাপ্তির যোগ্যতা ও শর্তাবলি

মূলত প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন-২০১৩ অনুযায়ী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র গ্রহণ করতে হবে। যে জেলার স্থায়ী বাসিন্দা সে জেলা হতে নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া আরো রয়েছে:

  • প্রতিবন্ধী  ব্যক্তির অধিকার  ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ এর ধারা ৩১ অনুযায়ী অনুমোদিত প্রতিবন্ধী হতে হবে।
  • বয়স ৫ বছর বা তারও বেশি হতে হবে।
  • অভিভাবকের বার্ষিক আয় ৩৬,০০০ (ছত্রিশ হাজার) টাকার ঊর্ধ্বে নয় এমন প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রী।
  • সাফল্যের সাথে প্রতিষ্ঠানের পূর্ববর্তী ক্লাস মাসে কমপক্ষে ৫০% উপস্থিতি থাকতে হবে।
  • ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • বিদ্যালয়ের সংলগ্ন ক্যাচমেন্ট এলাকার দরিদ্র প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী হতে হবে।

প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি প্রাপ্তির অযোগ্যতা 

  • যদি শিক্ষার্থী সরকার স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত না থাকে।
  • প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত হলে।
  • শিক্ষার্থী সরকার প্রদত্ত অন্য কোনো ভাতা বা শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত উপবৃত্তি গ্রহণ করে থাকলে।

প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি প্রার্থি বাছাই পদ্ধতি 

১) প্রার্থী অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।

২) উপবৃত্তি প্রাপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ-সামাজিক দিক বিবেচনায় আনা হবে।

৩) উপবৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীর মাত্রা বিবেচনা আনা হবে।

৪) দরিদ্র, ভূমিহীন, গৃহহীন ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।

৫) সমাজসেবা অধিদপ্তরের নির্ধারিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচিতি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী অগ্রাধিকার পাবে।

৬) সরকার কর্তৃক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবে। 

৭) এসিডদগ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী সর্বাধিক অগ্রাধিকার পাবে। 

প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি পেতে কি কি লাগে? 

শিক্ষা উপবৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে যে যে ডকুমেন্টস গুলো প্রয়োজন হবে সেগুলো হলো: জন্ম নিবন্ধন নাম্বার/ জাতীয় পরিচয় পত্র; জন্ম তারিখ; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য; অভিভাবকের তথ্য; ব্যক্তিগত তথ্য; আবেদন ফরম পূরণ ইত্যাদি। 

প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তির আবেদন করার নিয়ম ২০২৪ 

সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে একটি নিদিষ্ট ফরম পূরণ করে জমা প্রদান করতে হয়। এই ফরমটি সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকেই দেয়া হবে। তবে এই আর্টিকেলের মধ্যেই একটি ফরমের পিডিএফ ভার্সন দিয়ে দেয়া হবে। 

প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি আবেদন করার ক্ষেত্রে আবেদন ফরম পূরণ খুব গুরুত্বপূর্ণ, তাও এটি সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্টসের কপি সাবমিট করতে হবে। আপনার কি কি দিতে হবে এবং কিভাবে ফর্ম পূরণ করতে হবে তা আর্টিকেলে ইতিমধ্যেই জানানো আছে। 

অতঃপর, আবেদন ফরমটি সমাজসেবা অধিদপ্তরে জমা দিতে হবে। তারা যাচাই বাছাই করে নির্বাচিত হলে SMS, বা কল করে জানিয়ে দেয়া হবে। তাছাড়া প্রতিবন্ধী স্কুলে, কলেজ, না বিশ্বাবিদ্যালয় থেকেও জানতে পারবে। 

প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি ফরম pdf ডাউনলোড 

প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য আবেদন ফরম পূরণ করা তা যথাযথ ভাবে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে আবেদন ফরম পূরণ করার কাজে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে গুছিয়ে নিতে হবে। সেগুলো হলো: 

১) প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর নাম (বাংলা, ইংরেজি) 

২) পিতা-মাতার নাম 

৩) জন্মস্থান

৪) ধর্ম

৫) বৈবাহিক অবস্থা 

৬) লিঙ্গ

৭) জন্ম নিবন্ধন নাম্বার/ জাতীয় পরিচয় পত্র

৮) জন্ম তারিখ

৯) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, অধ্যায়নরত শ্রেনী, শাখা, রোল, প্রতিষ্ঠানের রেজি নং

তাছাড়া অভিভাবকের সম্পর্কেও তথ্য দিতে হবে। যেমন:  নাম, সম্পর্ক ও আর্থ সামাজিক অবস্থা, পেশা, বার্ষিক আয়, পরিবার সংখ্যা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জমির পরিমাণ ইত্যাদি। 

এই সকল তথ্য ঠিক ভাবে গুছিয়ে নিয়ে আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে। এবার প্রশ্ন হচ্ছে প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি আবেদন ফরম pdf কোথায় পাবেন, তাইতো? আমি পিডিএফ এখানেই দিয়ে দিচ্ছি। 

উক্ত লিংকে ক্লিক করে সরাসরি ডাউনলোড করে নিতে পারেন প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি আবেদন ফরম। 

প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি কত টাকা?

২০২৪-২৫ অর্থছরে মোট প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি পাবে ৭৮১০৪ জন শিক্ষার্থী। এক্ষেত্রে কাকে কত টাকা দেয়া হবে এটা নির্ভর করবে প্রতিবন্ধীর মাত্রার উপর। 

  • প্রাথমিক স্তর: ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু মাসিক ৩০০ টাকা করে প্রদান করা হবে। 
  • মাধ্যমিক স্তর: ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু মাসিক ৩০০ টাকা করে প্রদান করা হবে।
  • উচ্চ মাধ্যমিক স্তর: একাদশ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু মাসিক ৬০০ টাকা করে প্রদান করা হবে।
  • উচ্চতর স্তর: স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু মাসিক ১০০০ টাকা করে প্রদান করা হবে।

২০০৭-০৮ অর্থবছর হতে ২০২৩-২৪  অর্থবছর পর্যন্ত বছর ভিত্তিক  বাজেট ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রাপ্তির সংখ্যা:

অর্থবছরবাজেট (কোটি টাকায়)উপকারভোগীর সংখ্যা
২০০৭-০৮৫.০০১২২০৯
২০০৮-০৯৬.০০১৩০৪১
২০০৯-১০৮.০০১৭১৫০
২০১০-১১৮.৮০১৮৬২০
২০১১-১২৮.৮০১৮৬২০
২০১২-১৩৮.৮০১৮৬২০
২০১৩-১৪৯.৭০২০৪৮২
২০১৪-১৫২৫.৬০৫০০০০
২০১৫-১৬৪১.৮৮৬০০০০
২০১৬-১৭৪৭.৮৮৭০০০০
২০১৭-১৮৫৪.৫০৮০০০০
২০১৮-১৯৮০.৩৭৯০০০০
২০১৯-২০৯৫.৬৪১০০০০০
২০২০-২১৯৫.৬৪১০০০০০
২০২১-২২৯৫.৬৪১০০০০০
২০২২-২৩৯৫.৬৪১০০০০০
২০২৩-২৪১১২.৭৪ ১০০০০০
২০২৪-২৫১১৩.৭১১০০০০০

প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি কবে দিবে? 

স্বাভাবিক ভাবে প্রতি ৩ মাস পরপর দেয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বছরে মোট ৪ বার প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা পাওয়া যায়। 

২০২৪-২৫ অর্থছরে প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা প্রদান শিগ্রই দেয়া হবে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সাথে কথা বললে জানা যায়, নভেম্বর মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে সকলের একাউন্টে টাকা পৌছে যাবে। 

যে সকল কারণে প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি বাতিল হয় 

১) কোনো কারণ ব্যতীত একটানা ৩ মাস ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে উপবৃত্তি বাতিল হবে। 

২) যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত প্রতিষ্ঠানের এক্সামে অংশগ্রহন না করলে 

৩) উপবৃত্তি প্রাপ্তির পর ঐ প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করে অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে। 

৪) উপবৃত্তি প্রাপ্তি ব্যক্তির মৃত্যু হলে বা ইচ্ছাকৃত ভাবে গ্রহণ না করলে। 

৫) প্রতিবন্ধী থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে উপবৃত্তি বন্ধ হবে। 

চুড়ান্ত মন্তব্য 

আশা করছি প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি বিষয়ক এই আর্টিকেলটি দ্বারা প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি আবেদন পদ্ধতি, ফরম, যোগ্যতা ও শর্ত সমূহ সহ আরো অনেক বিষয়ে জানতে পেরেছেন। এমনই প্রতিবন্ধী বিষয়ক সকল আপডেট জানতে অনুসরণ করুন প্রতিবন্ধী বিডি ওয়েবসাইটটি, ধন্যবাদ। 

Visited 156 times, 1 visit(s) today

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *