হ্যালো প্রিয় পাঠকগণ। আজকে আমরা আলোচনা করবো বয়স্ক, প্রতিবন্ধী এবং বিধবা ভাতার টাকা নিয়ে। অনেকেই আমাকে কমেন্ট করে জানিয়েছেন যে তারা এখনো পর্যন্ত তাদের ভাতার টাকা পাননি। তাই আজকের এই ব্লগ পোস্টে আমি আপনাদেরকে বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে দেবো যে, যারা এখনো ভাতার টাকা পাননি তাদের করণীয় কি এবং কখন তারা টাকা পাবেন।
২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখের আশেপাশে অনেকেই তাদের ভাতার টাকা পেয়ে গেছেন। কিন্তু এখনো কিছু মানুষ আছেন যারা তাদের টাকা পাননি। বিশেষ করে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী এবং বিধবা ভাতার টাকা এখনো অনেকের একাউন্টে জমা হয়নি। আজকে আমরা এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
যারা এখনো ভাতার টাকা পাননি তাদের করণীয়
১. আশেপাশের লোকজনের খোঁজ নিন
প্রথমেই আপনারা যারা এখনো ভাতার টাকা পাননি, তারা আশেপাশের লোকজনের খোঁজ নিন। দেখুন যে, তারা টাকা পেয়েছে কিনা। যদি আপনার আশেপাশের লোকেরা টাকা পেয়ে থাকে এবং শুধুমাত্র আপনার টাকাটাই না আসে, তাহলে আপনাকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।
২. সমাজসেবা অধিদপ্তরে যোগাযোগ করুন
যদি আপনার আশেপাশের লোকেরা টাকা পেয়ে থাকে এবং আপনি টাকা না পান, তাহলে আপনাকে নিকটস্থ সমাজসেবা অধিদপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে। আপনার জেলা বা উপজেলায় সমাজসেবা অফিসে গিয়ে আপনার সমস্যার কথা জানান।
৩. লাইভ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন
আপনার ভাতার টাকা না দেওয়ার একটি প্রধান কারণ হতে পারে লাইভ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন না হওয়া। লাইভ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন না হলে আপনার টাকা আটকে যেতে পারে। তাই দেরি না করে সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করুন এবং লাইভ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন।
৪. প্রতারক চক্রের বিষয়ে সতর্ক থাকুন
কিছু ক্ষেত্রে প্রতারক চক্রের মাধ্যমে আপনার টাকা অন্য কেউ হাতিয়ে নিতে পারে। যদি আপনি সন্দেহ করেন যে আপনার টাকা অন্য কেউ নিয়ে গেছে, তাহলে সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করুন এবং বিষয়টি জানান। তারা আপনাকে সাহায্য করবে।
বিধবা ভাতার টাকা নিয়ে বিশেষ তথ্য
বিধবা ভাতার টাকা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেন। বিশেষ করে যারা এখনো পর্যন্ত বিধবা ভাতার টাকা পাননি, তাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছি।
১) বিধবা ভাতার টাকা আপনার একাউন্টে পাঠানোর জন্য বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। সবগুলো ধাপে অনুমতি পাওয়ার পরই আপনার একাউন্টে টাকা পাঠানো হয়। এই ধাপগুলো অনুমোদন করতে কিছু সময় লাগতে পারে।
২) টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়ায় আইসবাজ থেকে যাচাই করে বিলের টোকেন অনুমতি প্রদান করা হয়। এরপর ইমেইলের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদন হয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনার একাউন্টে টাকা প্রেরণ করা হয়।
যদি আপনি এখনো পর্যন্ত বিধবা ভাতার টাকা না পেয়ে থাকেন, তাহলে আর কয়েকদিন অপেক্ষা করুন। কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার একাউন্টে টাকা পাঠানো হবে।
সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী ৪ লাখ জন এখনো ভাতার টাকা পাননি
সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে যে, প্রায় ৪ লাখ ভাতাভোগী এখনো তাদের বিধবা ভাতার টাকা পাননি। এই সমস্যার পেছনে মূল কারণ হলো একটি সফটওয়্যার ত্রুটি।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একাউন্টস অফিস, সেগুনবাগিচা থেকে ভাতার টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়ায় একটি টোকেন বাদ পড়ে যায়। এই টোকেনের মাধ্যমে প্রায় ৩ লাখ ভাতাভোগীর টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে এই ত্রুটি ধরা পড়লে, ২৮ জানুয়ারি বেলা ২টার দিকে সেগুনবাগিচা অফিস থেকে টোকেনটি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকে টোকেন পাঠানোর পর সাধারণত ১০ থেকে ১২ ঘন্টার মধ্যে টাকা ভাতাভোগীদের একাউন্টে চলে যায়। তবে সর্বোচ্চ ২৪ ঘন্টা সময় লাগতে পারে। তাই যারা এখনো টাকা পাননি, তারা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। যদি এরপরও টাকা না আসে, তাহলে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন।
যারা ২০২৩ বা ২০২৪ সালে নতুন করে ভাতার আবেদন করেছেন, তাদের জন্য ভালো খবর হলো যে তাদের বাজেট ইতিমধ্যে অনুমোদিত হয়েছে। নতুন আবেদনকারীদের নাম সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে। যারা ২০২৪ সালে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করেছেন, তাদের শতভাগ ভাতা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নতুন আবেদনকারীদের টাকা তৃতীয় কিস্তিতে দেওয়া হতে পারে। যদি তৃতীয় কিস্তিতে টাকা না দেওয়া হয়, তাহলে জুন মাসে চতুর্থ কিস্তির সাথে এক বছরের ভাতা একসাথে দেওয়া হবে।
চুড়ান্ত মন্তব্য
প্রিয় পাঠকগণ, আশা করি আজকের এই ব্লগ পোস্ট থেকে আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে, কেনো ভাতার টাকা পাননি এবং যারা এখনো ভাতার টাকা পাননি তাদের করণীয় কি। যদি আপনার আশেপাশের লোকেরা টাকা পেয়ে থাকে এবং আপনি টাকা না পান, তাহলে দেরি না করে সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করুন।
আমরা চেষ্টা করবো নিয়মিত আপনাদেরকে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে। তাই আমাদের ব্লগটি ফলো করুন এবং নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন।

প্রতিবন্ধী বিডি একটি সেবামূলক ওয়েবসাইট যেখানে বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী শ্রেনীর নাগরিকদের প্রদানকৃত ভাতা ও অন্যান্য সেবা সমূহ নিয়ে তথ্য প্রদান করে থাকে। এছাড়াও সরকার দ্বারা প্রদানকৃত অন্যান্য ভাতা ও সুযোগ সুবিধা নিয়েও জানানো হয়ে থাকে। তবে এটা কোনো সরকারি ওয়েবসাইট নয়।