ভাতা

সাবধান আপনার প্রতবিন্ধী ভাতার টাকাও চুরি হতে পারে

How disability allowance money is stolen প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা কিভাবে চুরি হয়

প্রিয় প্রতিবন্ধী বন্ধুগণ, সাবধান আপনার প্রতবিন্ধী ভাতার টাকাও চুরি হতে পারে প্রতিবন্ধী বিডি ডট কম-এর পক্ষ থেকে আন্তরিক সালাম ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব বিষয়টি হল প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা চুরি হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা কিভাবে চুরি হয়

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টানির আওতায় অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাসিক ভাতা প্রদান করে থাকে।প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর বৃহৎ একটি অংশ উপার্জনহীন, এমন অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আছেন যাদের টাকার একমাত্র উৎস এই প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা।

এক শ্রেণীর অসাধু মানুষের লোলুপ দৃষ্টি পরেছে অসহায় প্রতিবন্ধীদের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকার প্রতি। তারা বিভিন্ন কুট কৌশলের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের ভাতার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতিবন্ধীদের ভাতার টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করা হত তখন ভাতাভোগী নিজে সশরীরে ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টার থেকে নিজের হাতে ভাতার টাকা গ্রহণ করতেন। তাই তখন প্রতিবন্ধীদের ভাতার টাকা চুরি হওয়ার কোন সুযোগ ছিল না, তবে ব্যাংকে গিয়ে ভাতার টাকা গ্রহণ করা স্বারীরিক ও দ্রষ্ট্রী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জরম অসুবিধার ব্যাপার ছিল। আমাদের দেশে অনেক ব্যাংক আছে যেগুলো দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত সে সকল ব্যাংকে স্বারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ওঠা নামার জন্য আলাদা কোন র‍্যাম্প নেই তাই তারা ব্যাংকে গিয়ে টাকা গ্রহণ করতে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতেন,
সরকার প্রতিবন্ধীদের ভাতার টাকা প্রাপ্তি সহজ করতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতার টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ফলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আর ব্যাংকে গিয়ে ভাতার টাকা গ্রহণ করতে হয় না তারা নিজের ঘরে বসেই ভাতার টাকা মোবাইলেই পেয়ে যাচ্ছেন সরকারের এই সদইচ্ছার সুযোগ নিয়ে একটি প্রতারক চক্র ডিজিটাল প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বৃহৎ অংশ পারিবারিক সচেতনতার ও আর্থিক অসচ্ছলতার জন্য সুশিক্ষা থেকে বঞ্চিত এবং এশকাল মানুষ আধুনিক প্রযুক্তি সম্বন্ধে অগ্গ আধুনিক প্রযুক্তিতে তাদের কোন ধারণাও নেই, তারা জানে না মোবাইল ব্যাংকিং কি ওটিপি এবং পিন নম্বরের গুরুত্ব কতটা, এসএমএস এর মাধ্যমে পাওয়া ওটিপি এবং পিন নম্বর অন্য কাউকে দিয়ে দিলে সে ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে নিতে পারে এশকাল বিষয়ে তাদের কোন ধারণা নেই। এই অক্ষমতা ও দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই প্রতারক চক্রটি প্রতারণা করে চলেছে।

যেভাবে প্রতিবন্ধী ভাতা ও প্রতিবন্ধী উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নেয়া নেয় প্রতারক
প্রতিবন্ধী ভাতা কিংবা উপবৃত্তি পায়, প্রতারক এমন ব্যক্তির মোবাইলে কল করে এবং বলে সে সমাজসেবা অফিস থেকে ফোন করেছে সে একজন অফিসার, প্রতিবন্ধী ভাতার বই প্রদান করা হবে কিংবা ভাতার তথ্য আপডেট করা হচ্ছে এজন্য ভাতাভোগীর মোবাইলে একটি এসএমএস আসবে এবং সেই এসএমএস-এ একটি কোড থাকবে সেই কোডটি তাকে দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

প্রযুক্তিতে অগ্গ ব্যক্তি যখন এসএমএস এর মাধ্যমে পাওয়া কোডটি অপর প্রান্তের ব্যক্তিকে জানায় তখন সেই ব্যক্তি ভাতা ভোগীর মোবাইল ব্যংকিং-এর পিন কোড জানতে চায় পিন কোডটি পেয়ে গেলেই প্রতারক ভাতাভোগীর মোবাইল ব্যংকিং-এর ব্যালেন্স থেকে টাকা সরিয়ে নেয়।

মূলত তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মার্চেন্ট সার্ভিসে পেমেন্ট করে টাকা হাতিয়ে নেয় ফলে সে সকল ব্যক্তি ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়।

বিজ্ঞাপন

প্রতারণা থেকে বাচার উপায় কি?
প্রতারণা থেকে বাঁচতে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। কোন অবস্থাতেই ওটিপি এবং পিন কোড অন্য কাউকে দেয়া যাবে না, কোন ব্যক্তি ফোন করে যা কিছুই বলুক না কেন কোন অবস্থাতেই বিকাশ বা নগদ হিসাবের ওটিপি এবং পিন কোড দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে প্রশাসনের সহায়তা গ্রহণ করা যেতে পারে।

প্রিয় প্রতিবন্ধী বন্ধু নিজে সচেতন হোন এবং অন্যকে সচেতন করুন আপনার পরিচিত ভাতা বা প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি ভোগী ব্যক্তিদের সাথে এই লেখাটি শেয়ার করুন। আপনার যে কোন সুচিন্তিত মতামত করে আমাদের পাশে ধাকুন আর নিয়মিত ভিজিট করুন প্রতিবন্ধী বিডি ডট কম সকলকে ধন্যবাদ।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button