প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন শেষ তারিখ কবে? (২০২৪-২৫ অর্থবছর) 

অক্টোবর মাসের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থছরে প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন শেষ তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০২৪। প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন শুরু হবে ১৫ অক্টোবর, ২০২৪ এবং শেষ হবে ১৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে। 

প্রতিবন্ধী ভাতা সরকার প্রদত্ত একটি সহায়ক কর্মসূচি সকল শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য। এক্ষেত্রে সকল ধরণের প্রতিবন্ধীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রতিবছর ৩ মাস পরপর মোট ৪ বার এই ভাতা প্রদান করা হয়। তারই পেক্ষিতে ২০২৪ সালের জন্য প্রতিবন্ধী ভাতার অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ১৫ অক্টোবর এবং এই প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য জারি করা চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে।

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন শেষ তারিখ কবে?

২০২৪ ও ২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া চলমান থাকবে ১৫ অক্টোবর ২০২৪ থেকে ১৪ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে।

আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য একটি চিঠি ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। গত ৩ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে প্রকাশ করা হয় সংবাদটি। উক্ত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বর্তমান বছরে প্রতিবন্ধী ভাতা প্রোগ্রামের আওতায় প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীদের সংখ্যা বাড়িয়ে ৩২ লক্ষ করা হয়েছে, যা পূর্বে ছিল ২৯ লক্ষ। প্রতিটি উপকারভোগী মাসিক ৮৫০ টাকা ভাতা পাবেন।

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন ২০২৪ 

প্রতিবন্ধী ভাতার অনলাইন আবেদন ২০২৪ সংক্রান্ত বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তারিত টিউটরিয়াল দেয়া হয়েছে প্রতিবন্ধী বিডি ওয়েবসাইট থেকে। মূলত অনলাইনে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীকে প্রথমে এমআইএস (ম্যাচমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে হবে। সেখান থেকে আবেদনকারীরা তাদের তথ্য অনলাইনে দাখিল করতে পারবেন। এছাড়াও, আবেদনকারীদের আবেদনের পূর্বে কিছু নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে, যেমন:

১) সুবর্ণ নাগরিক কার্ড: যারা ভাতার জন্য আবেদন করতে চান, তাদের অবশ্যই সুবর্ণগরী কার্ড থাকতে হবে। এটি হলো একটি প্রমাণপত্র যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে। জানুন কিভাবে সুবর্ণ নাগরিক কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন।  

২) সরকারি সুবিধা গ্রহন করলে: যদি কোন ব্যক্তি ইতিমধ্যে অন্য কোনো সরকারি সুবিধা পেয়ে থাকেন, তবে তিনি এই ভাতা গ্রহণ করতে পারবেন না। যদি প্রমাণিত হয় যে কেউ অন্য কোনো সুবিধা নিচ্ছেন, তাহলে তার আবেদন বাতিল হবে।

৩) নগদ ও বিকাশ একাউন্ট থাকা: যারা নগদ বা বিকাশ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছেন, তাদের অ্যাকাউন্টের নম্বর সচল থাকতে হবে এবং আবেদন প্রক্রিয়ায় তা সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে। কেননা, ভাতার টাকা এই একাউন্টেই জমা হবে প্রতি ৩ মাস পরপর। এছাড়া, মোবাইল নম্বরও সঠিকভাবে দিতে হবে যাতে প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীর সাথে যোগাযোগ করতে পারে। 

প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্তির শর্তাবলী

নির্বাচনের সময় পূর্বের অপেক্ষামান তালিকা থেকে আবেদনকারীদের তথ্য যাচাই করা হবে। এক্ষেত্রে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হওয়া ভাতাভোগীরা ১ জুলাই ২০২৪ তারিখ থেকে ভাতা প্রাপ্ত হবেন (মানে ১ জুলাই মাস থেকে ভাতা কাউন্ট করা হবে যখনই ভাতা দেয়া হোক না কেনো)। যেসব আবেদনকারী পূর্বে আবেদন করেছেন এবং তাদের নাম অপেক্ষামান তালিকায় রয়েছে, তাদের পুনরায় আবেদন করার প্রয়োজন নেই। তবে নতুনভাবে যারা আবেদন করতে চান, তাদেরকে অবশ্যই আবেদন ফর্ম সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়ার ধাপ:

এই ধাপটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ নতুনদের জন্য তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এই লিংকে প্রবেশ করুন। যারা প্রথমবারের মতো আবেদন করতে যাচ্ছেন, তাদের জন্য পুরো প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে তুলে ধরা হয়েছে। তবে কিছু প্রধান ধাপ হলো:

১) এমআইএস প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ: আবেদনকারীকে প্রথমে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট-এ প্রবেশ করতে হবে এবং সেখানে নির্দিষ্ট এমআইএস সিস্টেমে লগইন করতে হবে।

২) তথ্য প্রদান: আবেদনকারীদের তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। এর মধ্যে নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি থাকবে।

৩) ডকুমেন্ট জমা: আবেদনকারীদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট (যেমন: সুবর্ণ নাগরিক কার্ড, প্রতিবন্ধীতার প্রমাণপত্র ইত্যাদি) অনলাইনে দাখিল করতে হবে।

৪) আবেদন যাচাই: আবেদন জমা দেওয়ার পর কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীর তথ্য যাচাই করবে।

৫) ভাতা প্রদানের প্রক্রিয়া: প্রতিববন্ধী ভাতা পাওয়ার জন্য নির্বাচিত হলে, আবেদনকারীকে ভাতা প্রদান করা হবে এবং এটি নগদ, বিকাশ বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সময়মত দেয়া হবে।

চুড়ান্ত মন্তব্য 

আশা করছি প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন শেষ তারিখ কবে তা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন। আবেদনকারীদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে তারা অন্য কোনো সরকারি সুবিধা গ্রহণ করছেন না। যদি প্রমাণিত হয় যে তারা অন্য সরকারি সুবিধা গ্রহণ করছেন, তবে তাদের আবেদন বাতিল করা হবে। 

এছাড়া, যারা পূর্বে ইতিমধ্যে আবেদন করেছেন এবং অপেক্ষামান তালিকায় রয়েছেন, তাদের পুনরায় আবেদন করতে হবে না। এই আবেদন প্রক্রিয়ায় অনলাইনে সকল ধরণের তথ্য যাচাই করা হবে এবং পূর্বে প্রাপ্ত আবেদনকারীদের তথ্য যাচাই করার পরই চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হবে।

Visited 1,345 times, 12 visit(s) today

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *